সোহেল রানা।। দালালীর টাকা ফেরত দিচ্ছেন জনাব সিদ্দিন মালিথা, পিতাঃ মৃত চাঁদ আলী মালিথা, বারমাইল মাঠপাড়া, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।
ভুক্তভুগী গ্রাহক
১। শাহাদত আলী- ৫০০০.০০ টাকা, ২। তৈয়ব আলী – ৫০০০.০০ টাকা ৩। তাজু আলী- ৫০০০.০০ টাকা, ৪। টুটুল আলী- ২০০০.০০ টাকা, ৫। হবি সরদার – ১০০০.০০ টাকা, সর্বসাং- বারমাইল, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া। ০৫ (পাঁচ) জন ভুক্তভোগী গ্রাহক ঘুষের ১৮ (আঠার) হাজার টাকা ফেরত পেয়ে তাদের মুখে সোনালী হাসি ফুটে উঠেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ, বি, এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, কুষ্টিয়া জনাব মোঃ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, কুষ্টিয়া এর সহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আজাদুজ্জামান এবং ভেড়ামারা জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওএন্ডএম) জনাব মিজানুর রহমান। দালাল সিদ্দিক মালিথা বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩ স্প্যান সার্ভিস লাইন নির্মান করে ৫জন গ্রাহকের নিকট হতে ১৮,০০০.০০ টাকা হাতিয়ে নেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সুযোগ্য জেনারেল ম্যানেজার বলেন ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের সম্প্রসারণ এর কাজ চলছে। সুযোগ বুঝে ঐ এলাকার এক শ্রেণীর দালাল চক্র বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বেআইনীভাবে টাকা আদায় করে আসছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ, বি, এম মিজানুর রহমান বারমাইল মাঠপাড়া গ্রামে অনুসন্ধানে নামেন, অনুসন্ধানকালে খবরের সত্যতা বেরিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে মোঃ সিদ্দিক মালিথার নাম প্রকাশ পায়। তিনি আরও জানান কিছু হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে যা প্রমাণিত হয়। এ টাকা কৌশলে ঘুষ গ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা করলে গ্রাহকরা খবর পেয়ে এলাকায় জড়ো হয়ে টাকা ফেরত নেন দালাল সিদ্দিক মালিথার নিজ হাত থেকে।